শিরোনাম

টিকটক নিয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাজ্য

 প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন   |   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টিকটক নিয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাজ্য

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক, রেডিট এবং অনলাইন ছবি শেয়ারিং সাইট ইমগুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনার অফিস (আইসিও)। শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় প্ল্যাটফর্মগুলো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কি না তা যাচাইয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কোন কনটেন্টকে অগ্রাধিকার দেবে তা নির্ধারণ করতে এবং ব্যবহারকারীদের মনোযোগ ধরে রাখতে জটিল অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। তবে, একই ধরনের কনটেন্ট বেশি পরিমাণে দেখানোর ফলে শিশুদের ওপর ক্ষতিকর ও অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্টের প্রভাব পড়ার ঝুঁকি থাকে। তথ্য কমিশনার অফিস জানায়, তারা টিকটকের ১৩-১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে কনটেন্ট সাজানোর প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি, রেডিট এবং ইমগুর কীভাবে শিশু ব্যবহারকারীদের বয়স নির্ধারণ করে, তা নিয়েও তদন্ত করা হবে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলে, ‘যদি আমরা প্রমাণ পাই কোম্পানিগুলো আইন ভঙ্গ করেছে, তাহলে আমরা তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইব এবং তারপর একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।’

তথ্য কমিশনার জন অ্যাডওয়ার্ডস বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা আশা করছে যে, তাদের তদন্তে প্ল্যাটফর্মগুলোয় যথেষ্ট সুরক্ষাব্যবস্থা পাওয়া যাবে। তবে এসব প্রক্রিয়া শক্তিশালী ও কার্যকর তা তারা নিশ্চিত হতে চায়। অ্যাডওয়ার্ডস আরও বলেছেন, ‘আমরা টিকটককে লক্ষ্য করে তদন্ত শুরু করছি না’, বরং এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিদ্যমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই তদন্তের মাধ্যমে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সামগ্রিক চিত্র সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।

এদিকে, টিকটক, রেডিট এবং ইমগুর বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ইতিমধ্যে নতুন আইন পাস করেছে যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, এসব প্ল্যাটফর্মকে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর এবং বয়স উপযোগী নয়—এমন কনটেন্ট দেখানো বন্ধ করতে হবে।

এ ছাড়া, গত বছর আরেকটি আইনও প্রস্তাব করেছে যুক্তরাজ্য। এই আইন পাস হলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর অ্যালগরিদমকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে হবে, যাতে তারা ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফিল্টার করে বা কমিয়ে দেয় এবং শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর: