শহীদ জায়া গীতা চৌধুরীর প্রয়াণ

কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন শহীদ জায়া গীতা চৌধুরী। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার সময় কিশোরগঞ্জ শহরে নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গীতা চৌধুরী ২০২০ সালে রেপিড পিআর কর্তৃক রত্নগর্ভা পদকপ্রাপ্ত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্বামী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হন। বুধবার রাতেই শোকার্ত অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ শহরের আমলিতলা মহাশ্মশানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় গীতা চৌধুরীর। তার মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কিশোরগঞ্জের সুশীল সমাজের অনেকে গীতা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
গীতা চৌধুরীর একমাত্র ছেলে বিল্পব মোহন চৌধুরী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক। সাহিত্য জগতেও পদচারণা রয়েছে তার। তার লেখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই ‘যুদ্ধ দিনের কথা’ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০১৯ সালে উপজেলার সেরা শিক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হন তিনি। গীতা চৌধুরীর নাতি অরূপ চৌধুরী রুদ্র বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী।