একাত্তরের গেরিলা যোদ্ধা আশরাফ বাবুল চৌধুরী আর নেই

একাত্তরের রণাঙ্গনের গেরিলা যোদ্ধা আশরাফ বাবুল চৌধুরী আর নেই। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মরহুমের ছেলে সেবুল চৌধুরী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টায় হবিগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ বাবুল চৌধুরীর প্রতি প্রশাসন রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন (গার্ড অব অনার) করবে। এরপর সেখানে প্রথম জানাজা হবে। বাদ জোহর মরদেহের তাঁর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলা শৈলজুড়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আশরাফ বাবুল চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আশরাফ বাবুল চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে হবিগঞ্জ শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ শহরের ২ নম্বর পুল এলাকার মরহুমের বাসা সূর্য্যালয়ে যান।
১৯৭১ সালে আশরাফ বাবুল চৌধুরী গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার জকিগঞ্জে জুলাই ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়া ছিল একটি অন্যতম অপারেশন। ১৯৫২ সালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শৈলজুড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী ও মোস্তফা খানম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় আশরাফ বাবুল চৌধুরী।
জীবন সংকেত নাট্যগোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ও লেখিকা ঝিনুক চৌধুরীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ বাবুল চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। জীবন সংকেত নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি অনিরুদ্ধ কুমার ধর ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাঝহারুল ইসলাম মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।