শিরোনাম

রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে শঙ্কায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

 প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন   |   মহানগর

রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে শঙ্কায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

গ্রীষ্মের শুরুতে চট্টগ্রামে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পুরো রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে শঙ্কিত বিপনীবিতান ও কারখানা মালিকরা। যদিও পিডিবির দাবি, ন্যাশনাল গ্রিড থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ মিলছে, তাই চাহিদা বাড়লেও সংকট হবে না। তবে গ্রাহকের লাইনের ত্রুটি মেরামতের কারণে কোথাও লোডশেডিং হলেও তা সাময়িক বলছেন কর্মকর্তারা। গ্রীষ্মের আগমনে গরমের সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এছাড়া রমজানে মার্কেট খোলা থাকছে রাত-দিন। যাতে বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার। গেল শীত মৌসুমে লোডশেডিংয়ের উৎপাত না থাকলেও গ্রাহকদের অভিযোগ, বর্তমানে দিনে তিন থেকে চার বার হচ্ছে লোডশেডিং। আবার কখনও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বিদ্যুৎ থাকছে না ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। যাতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সব থেকে দুশ্চিন্তায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গরম তার উপরে কারেন্ট না থাকালে কেনাকাটা করতে আগ্রহ হারান ক্রেতারা।

বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘রমজান মাসে তো আমাদের সকাল ১০ থেকে রাত ৩ পর্যন্ত কাস্টমার সবসময় থাকে আমাদের তো ওই সময় বিদ্যুৎ দরকার।’ বিক্রেতাদের আরেকজন বলেন, ‘এসি মার্কেট। কাস্টমাররা বিদ্যুৎ না থাকলে দাঁড়াতেই চাই না।’

এদিকে বর্তমানে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও সামনের দিনগুলো নিয়ে শঙ্কিত কারখানা মালিকরা। তারা বলছেন, একদিকে বিদ্যুতের দাম বেশি। সেই সঙ্গে ঈদ সামনে রেখে বেতন, বোনাসের চাপ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হলে মজুরি ও বোনাস দিতে বেগ পেতে হবে তাদের।বিজিএমইএয়ের সাবেক প্রথম সহ- সভাপতি নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা লোডশেডিং কোনোভাবে বহন করতে পারি না। লোডশেডিং থাকলে বাড়তি জ্বালানি খরচ অনেক বাড়িয়ে দেয়।’

যদিও পিডিবির দাবি, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়ায় চট্টগ্রাম লোডশেডিংমুক্ত। তবে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে তা আগে থেকে জানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন ঠিক থাকলে সংকট তৈরি হবে না বলছেন কর্মকর্তারা। যদিও গ্রাহকের কষ্ট কমাতে বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে রাখতে মসজিদে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

চট্টগ্রাম পিডিবির বিতরণ দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, ‘লোডশেডিং আমাদের এখনো হয়নি। আমরা শিডিউল মেইনটেইন্সের জন্য কিছু কিছু ফিডার শাটডাউনে রাখছি। আমাদের প্রত্যেক ডিভিশনে কোনো না কোনো ফিডারে কাজ হচ্ছে।’ বর্তমানে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াটের বেশি। গরম বাড়লে চাহিদা ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে বলে মনে করছে পিডিবি।

মহানগর এর আরও খবর: