জাবি শিক্ষার্থীদের ১ লক্ষ টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করল গিভ ফাউন্ডেশন

নিশান খান
জাহানঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০ জন মেধাধী শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছেন গিভ ফাউন্ডেশন।
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ভবনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেছেন জাবি পাবনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো নাঈমুর রহমান নাঈম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক কে এম আক্কাস আলী(আইআইটি বিভাগ), অধ্যাপক মাসুদ শাহরিয়ার (ফার্মেসী বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক তমালিকা সুলতানা ( সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান জামি (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ) এবং জাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদ আব্দুল আওয়াল। গিভ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আবিদ হাসান নাদিত, ইব্রাহিম সৌরভ। নাগিব মাহফুজ কাব্যের সঞ্চালনায় বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক কে এম আক্কাস আলী বলেন, আমাদের দেশে মেধাবী অথচ দরিদ্র শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা অর্থ কষ্টের অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না অকালে ঝড়ে পড়ে। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠনগুলো যদি গিভ ফাউন্ডেশনের মতো এগিয়ে আসতো তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারত। আজ পাবনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে জাহাঙ্গীরবিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে আমি বিশ্বাস করি অন্যান্য জেলা সমিতি, সংগঠন যদি এভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে এগিয়ে আসে মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা সুন্দর ভাবে শেষ করে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে।
উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, এই ধরনের শিক্ষার্থী কল্যাণমূলক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম দেখছেন। তিনি গিভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাকে ব্যাক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং তাদের সর্বোপরি সাফল্য কামনা করেছেন।
গিভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাগন, হামিদুর রহমান বাবু, সামিদ রহমান, সামিহা রহমান এবং সালমা খানম এক বৃবিতে জানিয়েছেন,
আজকের এই সন্ধ্যা শুধু একটি সমাবেশ নয়—এটি আশা, সহমর্মিতা ও ঐক্যের এক অনন্য উদযাপন। Give Foundation-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে, আমরা বিশ্বাস করি যে, কেউই একা কষ্ট ভোগ করবে না। ভালোবাসা ও সহযোগিতার মাধ্যমে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা জয় করা সম্ভব।
এই বিশ্বাস থেকেই, আমরা গর্বের সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ১,০০,০০০ টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—সাহায্য, দান, ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে এবং পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা সুদুরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা আপনাদের আহ্বান জানাই, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজে এবং পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। আপনার সময়, সম্পদ বা আর্থিক সহায়তা কোনো কিছুই ছোট নয়—এগুলোর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। একসাথে আমরা অন্যদেরকে শক্তি খুঁজে পেতে, আশার আলো দেখতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতে বিশ্বাস করতে সাহায্য করতে পারি।
আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। চলুন, আমরা সবাই মিলে অন্যদের জীবনে আলোর সঞ্চার করি।"
মূল লক্ষ্য হলো সমাজের সেই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানো, যারা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে পড়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষেরই একটি সুন্দর ও সম্মানজনক জীবন যাপন করার অধিকার রয়েছে। তাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য এবং বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।