শিরোনাম

যারা ইতিহাস নির্মাণ করেন তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে: ঢাবি উপাচার্য

 প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন   |   ক্যাম্পাস

যারা ইতিহাস নির্মাণ করেন তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে: ঢাবি উপাচার্য

১৯৭১ সালের ২ মার্চ আ স ম আবদুর রব জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীন সংগ্রামে অবদান এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন ঢাবি উপাচার্য। যারা ইতিহাস নির্মাণ করেন, তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ আ স ম আবদুর রব জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীন সংগ্রামে অবদান এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন ঢাবি উপাচার্য।

রোববার (২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন ২ মার্চ বাংলাদেশ পতাকা উত্তোলন করা সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব আ স ম আবদুর রব। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি বলে জানা যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। স্বাগত বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ইতিহাস যারা নির্মাণ করেন, তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আমরা আ.স.ম. আবদুর রবকে ব্যক্তিগত পরিচয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। ঐতিহাসিক এ দিবস উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ঢাবি উপাচার্য আরো বলেন, পতাকা উত্তোলন দিবসের আয়োজনটি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়েছে। যারা কাজটি করেছেন, এটি সম্পন্ন করতে যারা কাজ করেছেন এবং আয়োজক কমিটির প্রতি সদস্য এবং যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, আমরা চেষ্টা করবো, এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করে যেতে। এ জাতীয় আয়োজন বর্তমান পরিস্থিতিতে তাৎপর্য বহন করে। তিনি বলেন, দেশ নানামুখী প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রে মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঐক্য ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছি, যা আমারকে সাহস দেয় আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরে জাতিকেও সাহস দেয়। ঐক্য ধরে রাখতে এই উদ্যোগগুলো আরো আন্তরিকতার সঙ্গে আয়োজন করা জরুরি।

সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা। যাদের রক্তের মিনিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদেরকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন এবং ২০২৪-এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহতের আরোগ্য কামনা করেন তিনি। কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য অবশ্যম্ভাবী ছিল। ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের ত্যাগ না থাকলে আমরা এখানে থাকতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধ কখনো ভুল ছিল না। উপউপাচার্য সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমরা ঐতিহাসিক দিনে সমাবেত হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে আর ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়।

এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পতাকা আমাদের ঐক্যের জায়গা। এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে। সব ধরনের আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শক্তিতে জাতীয় পতাকাকে সামনে নিয়ে একতাবদ্ধ হয়। আমরা নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হবো।

ক্যাম্পাস এর আরও খবর: