দক্ষিণ কোরিয়ায় পবিত্র রমজান শুরুর তারিখ কেন দেরিতে জানানো হয়

দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামীকাল শনিবার মাহে রমজান শুরু হচ্ছে না। দেশটিতে রমজান মাস শুরু হবে আগামী রোববার (২ মার্চ) থেকে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছে কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন (কেএমএফ)। দক্ষিণ কোরিয়ায় পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ এ দুই সিদ্ধান্তে প্রতিবছর মালয়েশিয়ার সাথে মিল রেখে পালন করা হয়। সেজন্য দেশটাকে অপেক্ষা করতে হয় ১ ঘন্টা। ভৌগলিক অবস্থান এবং সময়ের পার্থক্যের কারণে চন্দ্রপঞ্জিকার হিসাব-নিকাশ করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আগে রমজান মাস শুরুর ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশে। যেটাও এবারও দেখা গেছে।
একইভাবে ব্রুনাই ও সিঙ্গাপুর জানিয়েছে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশ দুটিতে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে এই দুই দেশে রোজা শুরু হবে রোববার (২ মার্চ) থেকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় পবিত্র রমজান মাস শুরুর তারিখ নির্ধারনের বিষয় নিয়ে শুক্রবার কথা বলেছেন হোয়াসং বায়তুল ফালাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ ফরিদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি, সাধারণত কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন মাহে রমজানের তারিখ নির্ধারণ করে থাকে মালয়েশিয়ার ওপর নির্ভর করে। প্রতিবছর রমজানের শুরু ও শেষের হিসাব-নিকাশটা এভাবেই হয়ে আসছে।’
এই ইমাম আরও বলেন, মালয়েশিয়া যেহেতু কোরিয়া থেকে এক ঘন্টা পিছিয়ে। সেজন্য এক ঘন্টা পর অর্থাৎ রাত ৯ টার পর মাহে রমজানের দিন ঘোষণা করে থাকে কেএমএফ। ফরিদুল হাসান আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ব প্রযুক্তিতে কয়েক ধাপ এগিয়ে। কেএমএফ চাইলে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে চাঁদ দেখার মাধ্যমে মাহে রমজানের সময় নির্ধারণ করতে পারে।’