‘শত বছর ধরে এভাবেই রোজা পালন করে আসছি’

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রথম তারাবির নামাজ আদায় ও সাহরি খেয়ে পবিত্র মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের বাসিন্দারা। এসব গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে এভাবেই রোজা-ঈদ পালন হচ্ছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রথম তারাবি ও সাহরি খাওয়ার মধ্যদিয়ে আজ শনিবার (১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা রেখেছেন তারা। গ্রামগুলো হলো—নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (র.)-এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর এক দিন আগেই রমজান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাড়িতে দরবার শরীফ। প্রতিবছর আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা শুরু করি। এ ছাড়া ঈদ এক দিন আগেই পালন করি হোক সেটা ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা। আমরা সবাই আনন্দ করি এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি।
শরীফ হোসেন নামে স্থানীয় আরেকজন বলেন, ছোটবেলা এখন পর্যন্ত প্রথম চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজ রাখি। আমরা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করি। পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তারাবির নামাজ আদায় করেছি। ভোররাতে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছি।
চট্রগ্রামের রহিমিয়া রশিদিয়া আল কাদেরিয়া দরবার শরীফের খাদেম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদ উদযাপন করি। শত বছর ধরেই আমরা এভাবে পালন করে আসছি। রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে এটা উদযাপনের ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের বেশি হবে।