লালমাইয়ে সালিশি বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের মৃত্যু

লালমাই প্রতিনিধি
কুমিল্লার লালমাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাবিবুর রহমান (৪৮) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় আরো দুই জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিন দুপুর ২.৩০ টায় লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে সালিশ বৈঠকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। কর্মজীবনে তিনি স্থানীয় শংকুরপাড় দিঘীর নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন। আহতরা হলেন হাবিবুর রহমানের ভাই মিজানুর রহমান ও হাছান আলী। গুরুতর আহত মিজানুর রহমান কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সাথে আবদুল জলিলদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সোমবার সকাল ১০ টায় আবদুল জলিলদের উঠোনে সালিশ বৈঠকে বসে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন খোকন ও গ্রাম সর্দার ছালামত উল্যাহসহ উভয় পক্ষের সালিশদাররা।
বৈঠকে কথা কাটাকাটির জেরে দুপুর ৩ টায় আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আবদুল্লাহ আল মামিন (২৬) লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষদের মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আবদুল্লাহ'র লাঠির পিটুনিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান অজ্ঞান হলে এবং মিজানুর রহমান গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে গ্রামবাসী। নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, আমার বাবারে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। আমি তার ফাঁসি চাই। শুনেছি হত্যাকারীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। পুলিশ যেন তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রাতে অভিযুক্তদের একজন মো. আবদুল্লাহ আল মামুন(২৬) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।