শিরোনাম

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ফলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল আইএসপিআর

 প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন   |   সামরিক প্রশাসন

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ফলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল আইএসপিআর

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্কের মন্তব্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারত্ব নিয়ে সম্প্রতি যেভাবে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট করল সেনাবাহিনী। মানবাধিকারের প্রতি দায়বদ্ধতা ও আইনের শাসনের প্রতি আনুগত্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে সেনাবাহিনী বলেছে—বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

আজ সোমবার (১০ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ফলকার তুর্ক ‘বিবিসি হার্ডটক’-এ যে মন্তব্য করেন, তা কিছু গণমাধ্যমে সম্প্রতি প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকারের তাৎপর্য যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে এবং গঠনমূলক সমালোচনাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। তবে সঠিকতা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে কিছু বিষয়ে স্পষ্টিকরণ প্রয়োজন বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। সেনাবাহিনী জানায়, জাতিসংঘের হাইকমিশনারের কাছ থেকে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সরাসরি কোনো বার্তা বা ইঙ্গিত আসেনি। যদি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তা হয়তো তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীকে নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফলকার তুর্কের মন্তব্য কিছু মহলের মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি এবং এর পেশাদারত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

নিরপেক্ষতা ও সততার মহান ঐতিহ্য ধারণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অতীতের ঘটনাপ্রবাহ, বিশেষত ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেনি। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কোনো পক্ষপাত বা বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। 

প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে, পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এখানে উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্জিত আয়ের একটি ক্ষুদ্র অংশ শান্তিরক্ষীরা পেয়ে থাকেন। এর সিংহভাগ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, যার পরিমাণ ২৩ বছরে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে। সেনাবাহিনী দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলামপদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সেনাবাহিনীর ভূমিকা-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে উদ্বেগ অথবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে তা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ফলপ্রসূভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে।

সামরিক প্রশাসন এর আরও খবর: