শিরোনাম

বাবা–মাকে ভুল না বোঝার দিন আজ

 প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন   |   লাইফস্টাইল

বাবা–মাকে ভুল না বোঝার দিন আজ

প্রতিবছর ১৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী ‘বাবা-মাকে ভুল না বোঝার দিন’ হিসেবে পালন করা হয়। ইংরেজিতে অবশ্য এ দিনটিকে বলা হয়, ফরগিভ মম অ্যান্ড ড্যাড ডে। এই দিনটি বাবা–মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তাঁদের ভুল বুঝে দূরত্ব সৃষ্টি না করার বার্তা দেয়। এই দিনটি আমাদের শেখায় যে বাবা-মায়ের সঙ্গে বোঝাপড়া গড়ে তোলার জন্য সহানুভূতি, ধৈর্য ও খোলামেলা যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ।

যেভাবে পালন করতে পারেন-

বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

যদি কোনো ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে থাকে, তাহলে খোলামেলা কথা বলে তা সমাধান করুন।

বাবা-মার সঙ্গে সময় কাটান, পুরোনো সুখস্মৃতি স্মরণ করুন।

একটি চিঠি বা নোট লিখে বাবা-মাকে জানিয়ে দিন আপনি তাঁদের কতটা ভালোবাসেন।

বাবা-মায়ের ত্যাগ স্বীকার করুন: অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না, বাবা-মা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত বা কাজ কখনো আমাদের পছন্দ না হলেও, সেটির পেছনে ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে।

ভুল বোঝাবুঝি দূর করুন: পরিবারে নানা কারণে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এই দিনটি সেই মান–অভিমান ভুলে গিয়ে সম্পর্ক মজবুত করার সুযোগ দেয়।

সহানুভূতি ও মনোযোগী শ্রোতা হোন

কোন বিষয়ে আপনি একমত নাও হতে পারেন, বিষয়টি তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করুন।

তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য প্রশ্ন করুন।

তাঁদের অনুভূতি ও মতামত আমলে নিন, এমনকি যদি আপনার মতামত ভিন্ন হয় তবুও তাঁদের মতামতের গুরুত্ব দিন।

খোলামেলা ও সৎ যোগাযোগ

তাঁদের কাছে নিজের ভাবনা ও অনুভূতি স্পষ্ট ও সম্মানজনকভাবে প্রকাশ করুন।

তাঁদের ব্যাপারে অনুমান করা বা তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।

নিজের মতামত জানিয়ে দিন, তবে তাঁদের কথাও গুরুত্ব দিয়ে শুনুন।

সম্মান ও ধৈর্য

মনে রাখুন, বাবা-মার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও মূল্যবোধ রয়েছে।

ধৈর্য ধরুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন, এমনকি যদি মতের অমিলও থাকে।

রাগের বশে চিৎকার করা বা প্রতিরোধমূলক মনোভাব দেখানো থেকে বিরত থাকুন।

পরিষ্কার করে বোঝার চেষ্টা করুন

কোনো বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন।

নিজে অনুমান করার পরিবর্তে তাদের বক্তব্যের প্রকৃত অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন।

বিশ্বাস স্থাপন করুন

ধীরে ধীরে আস্থা গড়ে তুলুন, যা সততা ও নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে আসে।

বাবা-মার মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দিন এবং দেখান যে আপনি তাঁদের শ্রদ্ধা করেন।

ইতিবাচক বিষয়গুলো শেয়ার করুন

ইতিবাচক বিষয়গুলো শেয়ার করুন

বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন।

সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রশংসা করুন ও ভালো মুহূর্তগুলো শেয়ার করুন।

১৮ মার্চ শুধু বাবা-মায়ের প্রতি সম্মান জানানোর দিন নয়, বরং পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার সুযোগ। তাই আসুন, এই দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করি এবং বাবা-মায়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।