সাবেক এমপি এম এ মালেক ৪ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আশুলিয়া থানার রিয়াজুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেককে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ এ নির্দেশ দেন।
আজ বিকেলে এমপি মালেককে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক ওমর ফারুক সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি এম এ কালাম খান রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে এমপি মালেকের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। তিনি ফ্যাসিস্টের একজন সহযোগী।’ এম এ মালেকের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘একজন বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ এম এ মালেক। এজাহারে তাঁর নাম নেই। প্রয়োজন হলে তাঁকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এম এ মালেক বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। হঠাৎ করে আমার বাসায় পুলিশ গিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় অ্যারেস্ট করেছে।’ এর আগে গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকা থেকে এম এ মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে রিয়াজুল ইসলাম আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া-চন্দ্র মহাসড়কের পাশে গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় রিয়াজুলের ভাই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।