শিরোনাম

ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য টিন রেজিস্ট্রেশন কতটা যৌক্তিক

 প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন   |   তথ্যপ্রযুক্তি

ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য টিন রেজিস্ট্রেশন কতটা যৌক্তিক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ইন্টারনেটের এই যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সামাজিকমাধ্যম। সব বয়সি ব্যবহারকারী আছে ফেসবুকের। ফেসবুক মনিটাইজেশন করার অনেক সুবিধা রয়েছে। ফেসবুক থেকে আয় করার প্রথম শর্তই হচ্ছে আপনার অ্যাকাউন্ট কিংবা পেজ মনিটাইজেশন করতে হবে। তবে চাইলেই ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। এজন্য ফেসবুকের কিছু শর্ত আপনাকে মানতে হবে। কিছু ডকুমেন্টস দেখাতে হতে পারে। এরমধ্যে অন্যতম হলো টিন সার্টিফিকেট। বর্তমানে ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে হলে টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়, তবে এটি তৈরি করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা দরকার। অনেকেই হুটহাট টিন খুলে ফেলেন, কিন্তু পরে বুঝতে পারেন যে এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয় (যখন করমুক্ত আয়সীমার বেশি হয়) এবং সঠিকভাবে কর পরিশোধ না করলে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতার মুখে পড়তে হতে পারে।

মনিটাইজেশন সবসময় সফল নাও হতে পারে। অনেক সময় পেজ বা অ্যাকাউন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে মনিটাইজ হলেও পর্যাপ্ত ইনকাম নাও আসতে পারে। ফলে টিন করলেন যেজন্য সেই কাজে না লাগলেও আপনাকে আয়কর রিটার্ন দিতে হচ্ছে সময় মতো। টিন নিলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বছরে এক টাকাও আয় হোক বা না হোক, যদি আপনার টিন থাকে, তাহলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে। আপনার আয়কর পরিমাণ আয় না হোক বা সম্পদ না থাকুক তারপরও আপনাকে অন্তত জিরো রিটার্ন জমা দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আপনি নানান সমস্যাইয় পড়বেন। যদি আয়কর রিটার্ন না দেন, তাহলে টিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে বা জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। তারপর জিরো রিটার্ন না দেওয়ার ফলে আপনি ব্যাংক লোন নিতে গেলে ঝামেলায় পড়বেন। বিদেশ যাত্রায় ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে গেলেও ঝামেলা হবে।

আগে নিশ্চিত হোন ফেসবুক থেকে আপনার ইনকাম আসবে কি না, অর্থাৎ আপনি সেইভাবে ফেসবুকে সময় দিতে পারবেন কি না নিয়মিত। নিয়মিত কনটেন্ট বানানো, পোস্ট করা বেশ কঠিন কাজ। যদি আপনি ফেসবুকে সময় দিতে পারেন তাহলে এজন্য শুধু টিন রেজিস্ট্রেশন করুন।

টিন থাকলে অবশ্যই আপনার জিরো রির্টান সাবমিট করতে হবে সেক্ষেত্রে আপনার সম্পদ থাকুক আর না থাকুক আর টিন বন্ধ ও করতে পারবেন টেক্সস কমিশনার বারবার আবেদন দিতে হবে টিন বন্ধ করার জন্য। সঠিক পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে না।

সূত্র: মেটা