নারী ফুটবলারদের খোঁজ নিতে বাফুফেতে বিকেএসপির ডিজি

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) নারী ফুটবল কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে। গত নারী সাফে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী। সিনিয়র ও জুনিয়র জাতীয় ফুটবল দলে বিকেএসপির বেশ কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন। নারী ফুটবলে উদ্ভুত সংকটে বিকেএসপির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম আজ বাফুফে ভবনে এসেছিলেন। বাটলারের অনুশীলনে যোগ না দেওয়া ১৮ জনসহ ক্যাম্পে থাকা সকল ফুটবলারের সঙ্গেই তিনি মত বিনিময় করেছেন।
বিকেএসপির মহাপরিচালক কয়েক ঘন্টা বাফুফে ভবনে ছিলেন। ফেডারেশন ত্যাগ করার আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের আগামন সম্পর্কে বলেন, 'নারী ফুটবল দলে আমার বিকেএসপির বর্তমান এবং সাবেক যেমন ঋতুপর্ণা ও আরো কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন। বিকেএসপির ডিজি হিসেবে আমি তাদের অভিভাবক। নারী ফুটবলের সমস্যায় আমার মেয়েরা কেমন আছে এই অনুভুতি থেকেই আসা। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গেও এ নিয়ে আলাপ হয়েছে আমার।'
বিকেএসপির ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে মূলত আসলেও বাফুফের ক্যাম্পে থাকা সকল ফুটবলারের সঙ্গেই তিনি মত বিনিময় করেছেন। বাটলারের অধীনে অনুশীলন না করতে চাওয়া ১৮ ফুটবলারের মধ্যে তিন জন (সাথী, স্বর্ণা ও নাসরিন) রয়েছেন বিকেএসপির বর্তমান শিক্ষার্থী। সাবেকও রয়েছেন কয়েকজন। সাবেক শিক্ষার্থীদের ওপর থাকলেও বর্তমানদের ওপর বেশি কর্তৃত্ব রয়েছে। তাদের প্রতি বার্তা নিয়ে বিকেএসপির ডিজির মন্তব্য, 'আমি আসলে কর্তৃত্ব বা অথরিটি শব্দের সঙ্গে খুব স্বাচ্ছন্দ্য করি না কারণ এতে সুপিরিয়টি থাকে। আমি অভিভাবক মনে করি। অভিভাবকের জায়গা থেকে আমি সব শৃঙ্খলার কথা বলি। বিকেএসপিতে আমাদের শৃঙ্খলা নিয়ে আলাদা সেশনই থাকে। আজও সেটা বলেছি।’
বিকেএসপির মহাপরিচালকের এই মন্তব্যের মধ্যেই মূলত বার্তা লুকায়িত। ফুটবলে কোচের আদেশ অমান্য করা শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। বিকেএসপি শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। বিকেএসপির কোচ, পরিচালক, প্রশিক্ষক না এসে সরাসরি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ প্রধান মহাপরিচালক সশরীরে এসেছেন। ফলে বিকেএসপির বর্তমান শিক্ষার্থীরা এতে সচেতন হয়ে যাওয়ার কথা বলে মনে করছেন ফুটবলসংশ্লিষ্টরা।
বাটলারের অধীনে অনুশীলন করছেন এমন পাঁচজন শিক্ষার্থীও রয়েছেন। আবার যারা করছেন না তাদের কিছু যুক্তি ও দাবী রয়েছে। সেই সম্পর্কে বিকেএসপি ডিজির মন্তব্য, 'আসলে আমি এখানে যৌক্তিকতা যাচাই করতে আসিনি। একটা ফিলিংস নিতে এসেছি এবং মেয়েরা কেমন আছে সেটা দেখতে এসেছি। আমার যা বার্তা দেয়ার তাদের দিয়েছে। সিদ্ধান্ত নেবে ফুটবল ফেডারেশন।'
সিনিয়র ও জাতীয় দলে বিকেএসপির বর্তমান ও সাবেক ফুটবলার রয়েছে এটা বাফুফে ভালোভাবেই জানে। বিকেএসপিকে বাফুফে আগে অর্ন্তভুক্ত করলে বয়কটে ১৮ ফুটবলার থেকে সংখ্যা আরো কমতে পারত। সংকটের পর বিকেএসপির ডিজি নিজে উদ্যোগী হয়ে এসেছেন। বাফুফে না ডাকলেও দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য বিকেএসপি ডিজির, 'আসলে এখানে কে আগে ডেকেছে বা ডাকেনি সেই আলোচনা করে ডিভাইড এন্ড রুল করা নিষ্প্রয়োজন। বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আমার প্রায় প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে। কখনো তিনি যোগাযোগ করেন আবার কখনো আমি। তিনি সভাপতি হওয়ার পর বিকেএসপি কাপ ফুটবলে গিয়েছিলেন। জ্যামে আটকে পড়ায় আমি মোটর সাইকেল পাঠিয়েছিলাম। তিনি মোটরসাইকেল করে এসেছিলাম। এতে বোঝায় আমরা কত আন্তরিক।'