শিরোনাম

ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এর বিশেষ ৫ গুণ

 প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন   |   ধর্ম

ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এর বিশেষ ৫ গুণ

পৃথিবী জুড়ে মুসলিমদের মাঝে ছড়িয়ে থাকা চার মাজহাবের অন্যতম একটি হাম্বলী মাজহাব। এই মাজহাবের ইমাম হলেন ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)। ১৬৪ হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে বাগদাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার মায়ের নাম সাফিয়্যা বিনতে মাইমুনা ও বাবার নাম মুহাম্মদ ইবন হাম্বল। জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হয় ‘আহমদ’। পুরো নাম আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন হাম্বল ইবন হিলাল।মা ও বাবা উভয় বংশসূত্রের দিক দিয়েই তিনি ছিলেন বিশুদ্ধ আরব গোষ্ঠী ‘শায়বানী’ গোত্রীয়। 

ইমাম আহমদের (রাহিমাহুল্লাহ) দাদা, হাম্বল ইবন হিলাল ছিলেন উমাইয়্যা খেলাফতের একজন গভর্নর। আরবে প্রচলিত, বংশের মর্যাদাবান পুরুষের নামে পরিচিত হবার রীতি অনুযায়ী, ইমাম আহমদের নামের শেষে তাঁর দাদার নাম জুড়ে দেয়া হয়। এভাবেই তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন আহমদ ইবন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) নামে। 

ইমাম আহমদের (রাহিমাহুল্লাহ) মাঝে এমন পাঁচটি গুণ ছিল যা ব্যক্তিকে আভিজাত্যের অধিকারী করে তোলে। তার গুণগুলো হলো—

>>তীক্ষ্ম ও মজবুত স্মৃতিশক্তি। 

>> ধৈর্য্য, দৃঢ়তা এবং কষ্টসহিষ্ণুতা। এগুলো অতি মহান গুণাবলী। এ গুণাবলীর ভিত্তি হচ্ছে ইচ্ছার দৃঢ়তা, সিদ্ধান্তের অটলতা ও মজবুত মনোবলের উপর। 

>> আত্মসম্মানবোধ। আত্মসম্মানবোধের কারণে তিনি কিছু কিছু হালাল জিনিস থেকেও বিরত থাকতেন। তিনি খলিফাদের উপঢৌকন গ্রহণ করতেন না। 

তিনি তার কোনো এক ছেলেকে বলেছেন, তা গ্রহণ করা হালাল এবং সে অর্থ দ্বারা হজ করাও জায়েজ হবে। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতেন না আত্মমর্যাদার কারণে; হারাম মনে করে নয়। নিজের উপর এই সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে গিয়ে তিনি নিজের হাতের কামাই অথবা পৈতৃক জমিতে উৎপাদিত ফসল ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। আর তা করতে গিয়ে তাকে অনেক কষ্ট সইতে হত, আরাম-আয়েশের জীবন থেকে বঞ্চিত হতে হত। তাই তিনি ছিলেন দুনিয়াবিরাগ। 

>> ইখলাস। সত্য সন্ধানে ইখলাস বা আন্তরিকতা থাকলে আত্মা বৈষয়িক মোহ থেকে পবিত্র থাকে। ফলে অন্তর্দৃষ্টি খুলে যায়, সঠিক বুঝ লাভ করা যায় এবং জ্ঞান ও হেদায়াতের আলোতে হৃদয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। ইমাম আহমাদ রিয়া (লৌকিকতা) থেকে বেঁচে থাকতেন এবং এজন্য যারপর নাই সতর্কতা অবলম্বন করতেন। যখন কোথাও যেতেন শত চেষ্টা করতেন যেন লোকেরা তার আগমনের কথা শুনতে না পায়। তিনি বলতেন, “আমি মক্কায় যাচ্ছি। মক্কায় গিয়ে কোনো একটা পাহাড়ের গিরিপথে আস্তানা গাঁড়ব যেন কেউ আমাকে চিনতে না পারে।”

>> গাম্ভীর্যতা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত গম্ভীর ও শান্ত। তার এ শান্তপ্রকৃতি ও গাম্ভীর্যতার কারণে মানুষ তাকে সম্মান করত, শ্রদ্ধা করত।