শিরোনাম

রংপুরের সাবেক এমপির বিনোদন কেন্দ্রসহ সম্পত্তি ক্রোক

 প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন   |   রাজনীতি

রংপুরের সাবেক এমপির বিনোদন কেন্দ্রসহ সম্পত্তি ক্রোক

রংপুরে ‘ডিগবাজি নেতা’ হিসেবে পরিচিত সাবেক সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুদক আইনে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আটটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ, তার মালিকানাধীন বিনোদন কেন্দ্রসহ ৩১৩০.৭৩ একর জমি এবং আনুমানিক ৯ কোটি টাকা মূল্যের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের সব সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে। এর আগে দুদকের পক্ষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের আদালতে নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের সব অস্থাবর-স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা, সেই সঙ্গে তার নামে আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

দুদক কর্মকর্তা রুবেল হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন পীরগঞ্জে ৩১৩০.৭৩ একর জমির ওপর ‘আনন্দনগর’ নামে বিশাল পিকনিক স্পট কাম বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে আটটি হিসাবে অনেক টাকা গচ্ছিত আছে। তার নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনে মামলা রয়েছে, যার নম্বর ২৬/২০২০ইং। ওই পিকনিক স্পট কাম বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র আনন্দনগর ক্রোক করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুককে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই সম্পদের জিম্মাদার থাকবেন।

তিনি আরও জানান, ক্রোকের সম্পত্তি কোনোভাবে অন্যত্র স্থানান্তর এবং হস্তান্তর করতে না পারে এবং ওই সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনো প্রকার লেনদেন বা ওই সম্পত্তিকে কোনোভাবে দায়মুক্ত করা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করেছেন আদালত।

নুর মোহাম্মদ মণ্ডল পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। দেশের তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের আমলে সুযোগ নিয়ে অঢেল সম্পদ গড়েছেন মণ্ডল। তিনি জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুবাদে দুইবার এমপি এবং তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ডিগবাজিখ্যাত এই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর থেকে ২০২০ সালে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমান মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

রাজনীতি এর আরও খবর: