শিরোনাম

গবেষণার চেয়ে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় বেরোবির গবেষণা কর্মকর্তা

 প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন   |   রাজনীতি

গবেষণার চেয়ে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় বেরোবির গবেষণা কর্মকর্তা

দায়িত্ব গবেষণা কর্মকর্তা হলেও গবেষণার চেয়ে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা ড. মো. রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে। তিনি অংশগ্রহণ করেন রাজনৈতিক বিভিন্ন মিটিংয়েও। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর রাজনৈতিক সংগঠনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকলেও আইন অমান্য করে রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় তিনি। দায়িত্ব পালন করছেন জিয়া পরিষদ রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও মানছেন না তিনি। বিভিন্নভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। নিয়মিত রংপুর বিএনপি অফিসে যাতায়াত করছেন। সম্প্রতি তিনি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাটে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পদযাত্রা ও উন্মুক্ত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। 

এ ব্যাপারে ড. রোকনুজ্জামান বলেন, জিয়া পরিষদ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন না। এটা একটা পেশাজীবী সংগঠন। বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠন না। আর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পদযাত্রা এবং আলোচনার সভা করার বিষয়ে তিনি বলেন, এলাকার লোকজনের সঙ্গে আমি গেদারিং করি। যেটা আগে থেকেই আমি করি। তাদের সঙ্গে চা খাই, কথা বলি। বেরোবি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনতাসির মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আমাদের ক্যাম্পাসে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি করতো। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে কেউ কেউ আবার বিপরীত রাজনীতিতে সামনে আসার চেষ্টা করছেন। তার মধ্যে বেরোবি কর্মকর্তা ড. রোকনুজ্জামানও একজন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বের চেয়ে রাজনীতিতে বেশ সত্রিয়। তিনি স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিকি কর্মকাণ্ডে যোগ দিচ্ছেন। ক্যাম্পাসের শিক্ষক-কর্মকর্তারা আবারো রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা। 

বেরোবির কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হিমু কোটরা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে অনেক দূর পিছিয়ে আছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণা ও পড়াশোনার মান ভালো রাখতে সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। যারা এ নিয়ম ভঙ্গ করবে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, কে কি রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত আছে সেটা তো আমার জানা নেই। তবে রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন কাউকে পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজনীতি এর আরও খবর: