শেরপুরে কিশোরী বীণা গণধর্ষণ ও হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জেল পলাতক আসামী গ্রেফতার

এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি’র তেজগাঁও থানাধীন কাওরান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শেরপুরে কিশোরী বীণা গণধর্ষণ ও হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক ১ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম- মোঃ আমান উল্লাহ (২৬) পিতা- মৃত ফজল হক, গ্রাম- বাঁকাকুড়া, থানা- ঝিনাইগাতী, জেলা-শেরপুর।
২০১৬ সালের ১৯ জুলাই গ্রেফতারকৃত মোঃ আমান উল্লাহ (২৬) সহ অপরাপর আসামীগণ শেরপুরের স্কুলছাত্রী কিশোরী বীণাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পার্শবর্তী বিলে ফেলে দেন। উক্ত ঘটনায় মোঃ আমান উল্লাহ (২৬) সহ ছয় জনকে আসামি করে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয় (ঝিনাইগাতী থানার মামলা নং-১৬(০৭)১৬, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩))। মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, শেরপুর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামী মোঃ আমান উল্লাহ (২৬) সহ ০৩ (তিন) জনকে মৃত্যুদÐাদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। আসামী মোঃ আমান উল্লাহ (২৬) বর্ণিত মামলায় গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন (মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দি নং-৪৩৪১/এ)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ০৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে কাশিমপুর কারাগারে হামলা-ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে আসামী মোঃ আমান উল্লাহ (২৬) জেল থেকে পলায়ন করত আত্মগোপন করেন। কারা কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘটনায় মামলা দায়ের করেন (কোনাবাড়ি থানার এফ আইআর নং- ০৪, তারিখ-১৫/০৮/২০২৪ খিস্টাব্দ, জিআর নং- ১৪০, ধারা- ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩৫৩/২২৪/ ৪২৭/৩৩২/৩৩৩/৪৩৬/৩৪ পেনাল কোড)। আসামী জেল পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন ডিএমপির তেজগাঁও থানাধীন ইন্দিরা রোড এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। এন্টি টেররিজম ইউনিটের একটি চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাচাইপূর্বক আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।