শিরোনাম

কুমিল্লার আদালত প্রাঙ্গণে বাদীকে পেটাল আসামিরা, আটক ২

 প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন   |   বিচার বিভাগ

কুমিল্লার আদালত প্রাঙ্গণে বাদীকে পেটাল আসামিরা, আটক ২

কুমিল্লায় আদালত প্রাঙ্গণে পকেটমার বলে আখ্যায়িত করে বাদীর ওপর হামলা করা হয়েছে। আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসায় বাদীর ওপর দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় আসামিরা। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কুমিল্লা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আসামিপক্ষের হামলায় বাদী সুমন (২২) মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন উপস্থিত লোকজন। আহত সুমন আহাম্মেদ কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার শ্রীমতী গ্রামের দৌলত মিয়ার ছেলে। আদালত প্রাঙ্গণে বাদীর ওপর হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর সাদেকুর রহমান।

আটক ব্যক্তিরা হলেন হোমনার শ্রীমতীর গনি মিয়ার ছেলে আবদুল মতিন (৫৬) ও আবদুল খালেক সাদ্দাম হোসেন (২৯)। আটককৃত দুইজনই আহত সুমনের পরিবারের ওপর হামলার দুইটি পৃথক মামলার আসামি। জানা যায়, সুমনের পরিবারের সঙ্গে বিবাদীদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক কোলাহল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বাদী ও বিবাদীরা একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে আদালতে। আহত সুমন ও তার বোন ইয়াসমিন বাদী হয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে দুই পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে। আজকে তাদের মামলার শুনানি ছিল। মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে আসে তারা। বিষয়টি জানতে পেরে আসামিপক্ষের লোকজন আগে থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করতে থাকে। বাদী সুমন ও তার বোন ইয়াসমিন আদালতে ঢুকতে গেলে সুমনকে ‘পকেটমার’ বলে মারধর শুরু করে আসামিপক্ষের লোকজন। 

উপস্থিত লোকজন প্রথমে পকেটমার মনে করলেও পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রত্যক্ষদর্শী মারুফ হোসেন বলেন, ‘পকেটমার বলে সুমনকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে আমরা সিএনজিতে করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

আহত সুমনের বোন ইয়াসমিন আক্তার (২১) বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কোনো বিচার পাচ্ছি না। তাই আজ প্লেকার্ড নিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সময় আদালত প্রাঙ্গণে আসামিপক্ষের ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী আমার ভাইকে পকেটমার বলে মারধর শুরু করে। আসামিরা আমাদের বাড়িতে সারা বছর অত্যাচার করে। এখন আদালতেও আমার ভাইকে মারলো। আমরা কী কোথাও বিচার পাবো না?’

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাদীর ওপর হামলা করায় উপস্থিত  দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আসামিরা থানায় আছে । আবদুল মতিনের নামে হোমনা থানায় মামলা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

বিচার বিভাগ এর আরও খবর: